ক্ষুধা ও প্রেম

হঠাৎ নীতু ফোন।
এ এই! এই বিকেল বেলা ঘুমিয়ে আছো। ওঠো তাড়াতাড়ি।  বসন্তের বৃষ্টি। উফফ!
ঐপাশ থেকে খুব উৎফুল্ল লাগছিলো নীতু কে।  হাসিব খুব বিরক্তি নিয়ে উঠল ফোন কানে নিয়ে "বলো"
-এই ছাদে যাও না।  দেখো আকাশটা। আকাশ অন্ধকার, বাতাস অনেক।বৃষ্টি আসে নি এখনও আসছি আসছি করছে। 
-আচ্ছা ওয়েট করো আমি আসছি।
হাসিব ভেজার প্রস্তুতি নিয়ে নীতুর বাসায় যাবার জন্যে বের হলো।
নীতুর বাসা কাছেই।  হাসিব বাতাস আর ধুলির সাগর পাড়ি দিয়ে আধা ঘন্টার মধ্যেই পৌছিয়ে গেল। নীতু হাসিব আসছে শুনে খিচুড়ীর বন্দোবস্ত করতে ব্যাস্ত হয়ে গেল। নীতুকে খুবই উত্তেজিত লাগছিল।
নিতু খিচুড়ী রাইস কুকারে বসিয়ে দুজনে ছাদে গেলো।নীতুর আব্বু দেশের বাইরে থাকেন। আর  বিকেল টাতে নীতুর আম্মু হাটতে যায় পাশের বাড়ীর খালামনির সাথে। আকাশ খারাপ হয়তো কোথাও আটকা পড়েছে আবার হাসিব এসেছে মা যখন তখন আসতে পারে ভয় ও করছে।  কিন্তু উত্তেজনায় এসব ফিকে হয়ে গেছে। অনেক আয়োজন করে তারা ছাদে গেলো। 
প্রায় ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করার পর কয়েক ফোটা ইলশেগুঁড়ি হলো। এদিকে হাসিব খুব খেঁপে গেছে। আবেগ আর কতক্ষন থাকে।  সে নীচে এলো ক্ষুধাও পেয়েছে।  নীতু মন ভালো করবার জন্যে খাবার দিতে গিয়ে দেখে খিচুড়ী হয়েছে এতো পাতলা যে কুলি করা যাবে তা দিয়ে।  পড়ে বুঝলো উত্তেজনায় সুইচই অন করে নি।  হাসিব  আর নীতুর মুখ দেখার মত হয়ে ছিলো।

Comments

Popular Posts